বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
.............. প্রতিযোগিতার রহস্য ...................
...................... part 3 ..........................
...................... শেষ পর্ব ..........................
আসমাউলের বাসা থেকে বের হয়ে হাকিম গণিকে বলল.....
হাকিম: গণি.......
গণি : জি স্যার
হাকিম: আসমাউলকে চোখে চোখে রেখো। আর চলো লাবিব সেন্টারে। দেখি ওখানে গিয়ে কিছু জানা যায় কি না।
গণি : চলুন স্যার সেখানেই যায়।
হাকিম: হ্যা চল চল।
হাকিম ও গণি লাবিব সেন্টারে যেতে যেতে বলল...
হাকিম: শোন গণি, লাবিব সেন্টারের সকল স্টাপের নজর রাখবা।
গণি : Ok, sir.
(কিছুক্ষণ পর হাকিম ও গণি লাবিব সেন্টারে পৌছালো)
ম্যানেজার: জি, আপনারা কে?
হাকিম : আমরা পুলিশ। আপনার সাথে কথা আছে।
ম্যানেজার: জি বলুন।
হাকিম : ১২ই নভেম্বর রাতে আপনার এখানে আসমাউল নামের কেউ এসেছিল?
ম্যানেজার: Just a minute.
(কিছুক্ষণ পর)
ম্যানেজার: জি ছিল।
হাকিম : রেজিস্টার খাতাটা দেখি।
ম্যানেজার: এই নিন।
হাকিম : এখানে তো দেখছি আসমাউল রাত ২টাই গেছিল।এখানে তো শহিদুলও আসত দেখতেছি। ম্যানেজার সেদিন আসমাউল এত রাত পর্যন্ত কি করছিল? আর শহিদুল কি এখানে প্রতিদিন আসত?
ম্যানেজার: হ্যা শহিদুল এখানে প্রতিদিন আসত, কিন্তু ১২ই নভেম্বর আসেনি। আর সেইদিন আসমাউল কী একটা যেন কাজ করতেছিলেন।
হাকিম : ওহ্, আপনারা এই দোকান কখন বন্ধ করেন?
ম্যানেজার: আমরা দোকান বন্ধ করি না, সারারাত খোলা থাকে।
হাকিম : ওহ্। আচ্ছা এখানে সি.সি ক্যামেরা আছে?
ম্যানেজার: জি
হাকিম: ১২ই নভেম্বর রাতের ফুটেজটা দেন।
ম্যানেজার: Ok, sir.
(হাকিম ও গণি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে ফুটেজ চেক করল)
গণি : স্যার এখানে তো কোন সন্দেহজনক কিছু দেখছি না।
হাকিম: হুম
(ফোন বাজার শব্দ)
হাকিম: হ্যালো.....
আসমাউল: স্যার আমি আপনাকে কিছু বলব শহিদুলের ব্যাপারে। আপনি প্লিজ আমার বাসায় আসেন।
হাকিম: আচ্ছা আমি আসতেছি।
(ফোন কাটার পর)
হাকিম: গণি গাড়ি বের করো
গণি: কেন স্যার?
হাকিম: আসমাউলের বাসায় যেতে হবে তাড়াতাড়ি।
গণি: ওকে স্যার।
(আসমাউলের বাসায় যাবার পর)
(কলিং বেলের শব্দ)
হাকিম: দরজা খুলছে না কেন? গণি দরজা ভাঙ্গ।
গণি: আচ্ছা স্যার
(দরজা ভাঙ্গার পর)
গণি: বাসার মধ্যে সব এলোমেলো হয়ে আছে যে।
হাকিম: বাড়িটা সার্চ কর।
গণি: স্যার একটু এদিকে আসবেন।
হাকিম: বল
গণি : দেখেন স্যার।
হাকিম: আমি যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে।
গণি : স্যার আসমাউলকে কে মারতে পারে?
হাকিম: জানি না।
(পুলিশ স্টেশনে এসে হাকিম ভাবতেছে যে কে শহিদুল ও আসমাউলকে হত্যা করল)
হাকিম: আমি কিছু বুছতে পারছি না যে কে আসমাউল ও শহিদুলকে হত্যা করল। আচ্ছা গণি তুমি সামিরকে(আসমাউলের অ্যাসিস্টেন্ট) বলছ আসমাউলের ব্যাপারে।
গণি : স্যার, সামির তো বাড়িতে গেছে।
হাকিম: কি বললে ব্যাটা বাড়িতে গেছে। আসমাউলকে মেরে ব্যাটা বাড়িতে গেছে। চলো সামিরের বাড়িতে।
গণি: ওর বাড়ি কোথায়?
হাকিম: আসমাউল বলেছিল যে সামিরের বাড়ি কদমতলী।
গণি : কিন্তু স্যার কদমতলীর কোথায় খুঁৃজব?
হাকিম: কেন ওখানে গিয়ে ওর ছবি দেখিয়ে বাসা খুজব।
গণি : চলুন স্যার
(সামিরের বাসায় যেতে যেতে)
হাকিম: এই ছেলেটির বাড়ি কোথায় বলতে পারেন।
অচেনা লোক: জি এই রোড দিয়ে নাক বরাবর গিয়ে ডানে যাবেন, তারপর বামে, তারপর ডানে যে বাড়িটি আছে সেটা সামিরের বাড়ি।
হাকিম: Thanks
(সামিরের বাড়ির সামনে এসে)
হাকিম: অনেক কষ্টে সামিরের বাড়ি খুঁজে পেলাম। চল ওর বাবার সাথে কথা বলি।
সামিরের বাবা: আপনারা কারা?
হাকিম : আমি এস.আই হাকিম।
সামিরের বাবা: ওহ্ জি বলুন।
হাকিম: সামির কোথায়?
সামিরের বাবা: ও তো শহরে আছে। আসমাউলের বাসায় কাজ করে।
হাকিম: আর এই সুযোগে আসমাউলকে খুন করেছে।
সামিরের বাবা: কি বলছেন কি! আমার ছেলে এরকম করতে পারে না।
হাকিম: সেটা আমাদের বিচার করতে দিন।
(সামিরের বাবার সাথে কথা বলতে বলতে হাকিমের কল আসল)
হাকিম: হ্যালো.... জি বলুন
ফোনের ওপাশের লোক: স্যার, আমি কদমতলী পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেকটর রনি বলছি।
হাকিম: জি বলুন।
রনি: আপনি যে লোকটির ছবি দিয়েছিলেন তার লাশ আমরা নদীর ধারে পায়ছি।
হাকিম: তাই নাকি!
রনি: জি, স্যার।
হাকিম: চলো নদীর ধারে।
(নদীর ধারে আসার পর)
গণি: ops.স্যার আমরা যাকে সন্দেহ করি সেই মারা যাচ্ছে।
হাকিম: হুম বুঝছি না কেন এইরকম হচ্ছে।
রণি: স্যার আমরা লাশের পকেট থেকে এই পেয়েছি।
(রনি একটা চিঠি হাকিমের হাতে দিল)
হাকিম: এতক্ষণে বুঝতে পারলাম কে এই সব খুন করেছে।
গণি : কে স্যার?
হাকিম: চলো আমার সাথে তাহলে বুঝতে পারবা।
গণি: কোথায়?
হাকিম: You just follow me.
(হাকিম ও গণি বাস স্টপে গেল খুনিকে ধরার উদ্দেশ্যে)
হাকিম: গণি, ধরো খুনি পালালো তাড়াতাড়ি।
(হাকিম ও গণি অনেকক্ষণ খুনিকে তাড়া করল শেষ পর্যন্ত খুনিকে ধরতে পারল আর জিঙ্গাসাবাদ করল)
হাকিম: তুই! তাহলে তুই এইসবের মূলে ছিলি আমি তোকে চিনতে পারিনি।
(হাকিম খুনিকে দেখে আশ্চর্য হলেন আর বললেন রাশেদ আমি তোকে চিনতে ভুল করেছি)
গণি: স্যার, রাশেদকে আমরা সন্দেহের লিস্টে রাখি নায়।
হাকিম: আর সেটাই ছিল আমাদের ভুল। রাশেদ বল, কেন এই তিন জনকে খুন করলি? কী ক্ষতি করেছিল এই তিনজন যে একসাথে মারতে হলো এদেরকে।
রাশেদ: ওদের নিজের দোষে ওরা মারা গেছে।
হাকিম: কেন? কী করেছিল ওরা?
রাশেদ: আমি ও শহিদুল মানুষ পাচার করতাম।মানুষকে ধরে নিয়ে বিদেশে পাচার করতাম। আর শহিদুল কার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত। আর ও জিতলে আমাকে ওই টাকার ভাগ দিত। কিন্তু গত কার রেসে ও জিতে কিন্তু ও আমাকে ওই টাকার ভাগ দেয় না। আমি এটা স্বাভাবিক নিই।কিন্তু জানি না ওর মাথায় মনে হয় ভূত চেপে বসেছিল, আমরা যতোগুলো মানুষ ধরে এনেছিলাম সবাইকে ও ছেরে দেই আর বলে আর মানুষ পাচার করলে আমি পুলিশকে বলে দিব। আর তখন আমি ঠিক করে ফেলি যে ওকে আমি মেরে ফেলব। কিন্তু ওকে মারার সময় আসমাউল দেখে ফেলে আর বলে আমি কেন ওর বন্ধুকে মেরে ফেললাম ও সব পুলিশকে বলে দিবে।তখন আমি ওকে ভয় দেখিয়ে ও টাকার লোভ দেখিয়ে চুপ করিয়ে দিই।তারপর শহিদুলকে গলায় দড়ি দিয়ে নিমতলায় ঝুলিয়ে দিই। তার কিছুদিন পর যখন জানতে পারলাম যে আসমাউল আপনাকে সব বলে দিবে তখন আমি তাকে সামিরের হাত দিয়ে মেরে ফেলি। তারপর সামিরকেও মেরে ফেলি যেন কোন প্রমাণ না থাকে।
হাকিম: লোভ তোর পিছু ছারেনি যেখানে গেছস সেখানে তোর পিছু নিয়েছে। কিন্তু মনে হয় তুই জানস না যে সব খুনিরা কিছু না কিছু প্রমাণ ছেড়ে যায়। তুইও রেখে গেছস। সামির তোর জন্য একটা চিঠি লিখেছিল যে"আমি আসমাউলকে মেরে ফেলেছি আমার টাকা দেন"। কিন্তু চিঠিটা দেওয়ায় আগে তুই ওকে মেরে ফেলেছিস। আর ও মরার আগে বলে দিয়েছিল যে তুই বাস স্টপে গিয়েছিলি। আর আমরা সেখানে গিয়ে তোকে ধরে ফেলি। তুই মনে হয় ভুলে গেছিলি যে " লোভে পাপ পাপে মৃত্যু" এই কথাটি দুনিয়াতে আছে। এখন আদালত তোকে এই কথাটি মনে করিয়ে দিবে। গণি নিয়ে যায় একে।
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now